top of page
কবি’র কালশাপ
ইকবাল বাল্মিকী
০১
হায় প্রমাংশু , ভরপেটে প্দ্ম খেয়ে চলে গেলে
দিন দুপুরে শিকারির চোখে তোলে হরিনীর ঘ্রাণ ...
কে তুমি জলে ভাসা একা একা প্দ্ম-পুরাণ
বিষ হারিয়ে সতী শাপলাদের সনে
তোমার তিন-তাসে রাজা মৃত, বেহুলা বিবিজান।
তোমার কি তবে বিদ্যুতের তারে বাদুর হওয়ার কথা ছিল
আলো ও ইলেকট্রনের ফাঁকে ঈন্দ্রধনু হওয়ার কথা ছিল।
০২
মধ্যনগর এক্সপ্রেস বিপুল বেগে
চলে যাচ্ছেন পড়ন্ত বিকেলের দিকে...
যদিও ভোরের ফুঁইশেল বড় তরতাজা
শৈশবের শীত হয়নাই একটুকন ফিকে।
নিশিনাগ আর জাগেন না দিনে সাতবার
চন্দ্র কিরণেও তার আহারে অরুচি
চোখে ভোখ নিয়ে আর কতো দরিয়ার গতরে দেব ঝাপ
আর কি হবে চুনির চম্পাবুকে হাত দিয়ে সাতখুন মাফ ..
হায় মনিলাল
পাতাল খুড়ার দিন বুঝি শেষ হয়ে এলো
দেখো দেখো, শেওলা ঘিরে জমিতেছে স্মৃতির চেরাগ
জলের ওপর দিয়ে ভেসে যায় ঝরনার যত রক্তের দাগ।
০৩
কি লাভ হয়েছে রোদ্র, শুনিয়ে নরেন্দ্রে লবণের গান
লবঙ্গ লবঙ্গ বলে কতোনা কেঁদেছি সাগর সকাশে
সবাই বলেছেন, দুরে থাক , সম্পর্কে আমরা দিদিজান ..
আমলকির কাঁচা গন্ধে ঘুমিয়ে পড়েছি
জেগে দেখি আস্হা দরবেশ
আম্রপালির স্তনে কেবলি আমিষ , দুধের সন্দেশ ...
bottom of page